D.El.Ed. Part-1
CPS-01 (Bengali)
Important Question
সংক্ষিপ্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর (নোট)
১. ‘নৌকাযাত্রা’র রচয়িতা কে? নৌকাটি কোথায় বাঁধা ছিল?
→ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; রাজগঙ্গার ঘাটে।
২. যদি মঙ্গলবার বাড়িতে নমষ্ঠি হয়, মেয়েরা কোন ব্রত পালন করত?
→ তালবনমী ব্রত।
৩. ‘আবরণ’ ও ‘আভরণ’ শব্দের অর্থ কী?
→ আবরণ: ঢেকে দেওয়া; আভরণ: অলংকার/গয়না।
৪. “গালির আগার দর দন্তু আমার...”—এর উৎস, অর্থ কী?
→ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ‘নবরামের ডুমুরের গাছ’; নিজের গাছের ফল নিজের, অন্যের গাছের ফল অন্যের।
৫. নবাববাগানের রাজা কী খেতে চাইতেন? মাথায় কী থাকত?
→ আমসত্ত্ব ভাজা ও ইলিশ মাছ চাইতেন; মাথায় অষ্টপ্রহর বালিশ থাকত।
৬. ‘আলবাল তালবাল’ বইয়ের লেখক কে ও অন্য এক নাটকের নাম লেখো।
→ সুকুমার রায়; ‘সৎপাত্র’।
৭. দেশজ পদ কী? উদাহরণ দাও।
→ বিশেষ স্থানের নামে গঠিত শব্দ; উদা: রামপুর, বালুরঘাট।
৮. ‘তালবনমী’ গল্পের লেখক ও প্রধাণ চরিত্রের নাম কী?
→ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়; গোপাল।
৯. দুটি বুনো হাঁস আলাদা হলো কেন?
→ একটি আহত হয়ে পড়েছিল, অপরটি অলস হয়ে পড়েছিল, তাই বিচ্ছিন্ন।
১০. ‘মুড়ির মজা’ সহজে শেখাতে শিক্ষক কী করবেন?
→ ছাত্রদের পুর্বজ্ঞান যাচাই করে, উৎসাহী করতে কিছু প্রশ্ন করবেন—উদা: দুর্গাপুজো কবে হয়, স্কুল খোলা থাকে কি না ইত্যাদি।
১১. ‘পশুর নির্দেশ’ গদ্যে কোন কোন পশুদের কথা আছে?
→ হাতি, বাঘ, ময়ূর, শেয়াল, সজারু, জিরাফ, হনুমান, হরিণ।
১২. “বাঘ আর্ত হলে অরণ্য স্তব্ধ হয়”—এর অর্থ কী?
→ ‘নদওয়ালীর বিড়াল’ গল্পে বাঘের আওয়াজে সংবেদনশীলতা বোঝানো হয়েছে।
১৩. ‘সত্য সারা’ গল্পে কৃষকের পুত্র কিভাবে ‘সত্য সারা’ পেল?
→ মাটিতে বোনা ভালো বীজ, চেষ্টার ফলে ফসল সারা পেল।
১৪. গভীর জঙ্গলে ফুলপাখি কেন কম?
→ প্রচুর বীজের পরেও পরিবেশ অনুকূল নয়, তাই ফুল কম ফোটে।
১৫. গাছেরা অপমানিত বোধ করে কেন?
→ মানুষের কাছে উপহাসিত হয়, ডাল ছেঁটে দেয়—এই জন্য।
১৬. তালগাছ বৃথা দাড়িয়ে থাকে কেন?
→ শুধু দাঁড়িয়ে থাকে, পরিবেশের সৌন্দর্য দেখে।
১৭. ‘নৌকাযাত্রা’ সহজে শেখাতে শিক্ষক কী করবেন?
→ ছাত্রদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা, নৌকা-ঘাটের ছবি ব্যবহার।
১৮. গাছেরা আমাদের বন্ধু কেন?
→ ফুল, ফল, ছায়া, অক্সিজেন দিয়ে সাহায্য করে।
১৯. ‘মাস্টারদা’-র রচয়িতা ও স্কুলের নাম কী?
→ অলোকশঙ্কর মুখোপাধ্যায়; উমাতারা হাইস্কুল।
২০. ‘পর্যাপ্ত’ ও ‘পরভূত’ শব্দের অর্থ কী?
→ পর্যাপ্ত: যথেষ্ট; পরভূত: পরাজিত।
২১. “তোমার lookup...”—এর উৎস ও অর্থ কী?
→ কৃষক পুত্র বাবার কথায়; আত্মবিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ।
২২. ‘পাতা ভাত’-এর পরিচয় কী?
→ চালের উচ্ছিষ্ট-পানিতে ভাত দিয়ে তৈরি খাবার।
২৩. ‘হাঁসুড়ি’ গল্পের লেখক কে? ‘লক্ষ্মী নমলি’ কাকে বলে?
→ সুকুমার রায়; বৈল্যবালাকে।
২৪. ‘যদি নমষ্ঠি’ গল্পের চরিত্র ও তার মেয়ের নাম কী?
→ তালবনমী গল্পের চরিত্র; হরমতী।
২৫. ‘আমাদের গ্রাম’ রচয়িতা;
মায়ের ‘সমার’ তুলনার কারণ কী?
→ বরুণ মুখোপাধ্যায়;
গ্রামের বাতাস-মাটি মায়ের সমান প্রিয়।
২৬. ‘আমরা চাষ করি’—প্রাকৃতিক দৃশ্যের বর্ণনা দাও।
→ মাঠে কৃষকের পরিশ্রম, বৃক্ষ-ছায়া, সবুজ গাছপালা, বাদাম বাতাস।
২৭. ‘সারাদিন’ কবিতায় কবির অবলোকন কী?
→ প্রাকৃতিক নানা উপাদান ও তাদের আনন্দনুভূতি।
২৮. ‘নদী’ কবিতায় কবির ইচ্ছার কথা কী?
→ নদীর স্রোতধারার সঙ্গে পথ চলার ইচ্ছা, অসাধ্য বলে তা হয়নি।
২৯. ‘নদীর তীরে’ গদ্যের লেখক কে? ও লেখকের ষাড়টির কমেন্টটি কী?
→ সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায়; ষাঁড়টি নদীর নানা রূপসম্ভার দেখে বিস্মিত।
৩০. ‘নতুন ফুলের দল’ গল্পের লেখক কে? লেখকের পর্যবেক্ষণ কী?
→ অজয় চক্রবর্তী;
নদীর ও গাছপালা প্রাকৃতিক পরিবর্তন।
৩১. ‘আগমনী’ কবিতায় কোন ঋতুর চিত্র বর্ণনা করা হয়েছে?
→ শরৎ ও বাঙ্গলার পুজোর মরসুম।
৩২. ঈশপ কে ছিলেন? তার দুটি বিখ্যাত গল্প বলো।
→ গ্রিক দাস, কথা-গল্পকার; 'আঙুর ফল টক', 'বাঘ বাঘ'।
৩৩. ‘সবার জন্য শিক্ষা’ কবিতার মূল বক্তব্য কী?
→ সকলের শিক্ষা পাওয়া প্রয়োজন, শিক্ষার গুরুত্ব।
৩৪. ‘রহিমদাশ’ গল্পের নামকরণের কারণ কী?
→ চরিত্রের শ্রেষ্ঠত্ব, বুদ্ধিমত্তা দিয়ে নামকরণ।
৩৫. ‘নতুন ছেলের অভিযান’ কোন ধরনের গল্প?
→ অভিযান এবং বন্ধুত্বমূলক।
৩৬. ‘বর্ণভোজন’ রচনায় কী বোঝানো হয়েছে?
→ গ্রামীণ পরিবেশে বর্ণমালার শিক্ষা।
৩৭. ‘বর্ণভোজন’ নামের অর্থ কী?
→ খাদ্য গ্রহণের মতো অক্ষর গ্রহনের আনন্দ।
৩৮. ‘বিল্লুবালার দুষ্টুমির দল’ গল্পের শিক্ষণীয় দিক কী?
→ শিশুর দুষ্টুমির আনন্দ, পরিবারিক শিক্ষা।
৩৯. ‘বলোর খবর’ গল্পে লেখক কী বার্তা দিয়েছেন?
→ পশু-পাখির গভীর জঙ্গল পরিবেশের চিন্তা—মিলেমিশে থাকা।
৪০. ‘বড়ছবি সাধ’ গল্পের বার্তা কী?
→ শিশুর ইচ্ছা ও সামাজিক উপলব্ধির বার্তা।
৪১. ‘আমাজনের জঙ্গলে’ গল্প কী বোঝায়?
→ অদ্ভুত প্রাণীর সন্ধান, বনাঞ্চলের সংরক্ষণ জরুরি।
৪২. ‘সত্যি চাওয়া’ কবিতায় মানব-মানবীর চাওয়ার কথা কীভাবে ধরা আছে?
→ প্রকৃতির কাছে সুন্দর এবং উন্নতির আকাঙ্ক্ষা।
৪৩. ‘আদি সমুদ্রপাড়ি দোলা’ নামকরণের কারণ কী?
→ সমুদ্রপাড়ি যাত্রার প্রাধান্য—নাটকের মূল উপজীব্য।
৪৪. ‘দক্ষিণের অভিযান’ নামকরণের কারণ কী?
→ প্রধান চরিত্রের দক্ষিণে অভিযানের ঘটনা।
৪৫. ‘অ্যাডভেঞ্চার বক্স’ গল্পের নামকরণের কারণ কী?
→ উন্মুক্ত গোপন অভিযানের অভিজ্ঞতা।
৪৬. ‘বাঁচতে দিন বলে’ কবিতায় লেখক কী বুঝাতে চেয়েছেন?
→ সকল প্রাণীর বাঁচার অধিকারের গুরুত্ব।
৪৭. ‘আমার মা-র বাল্যকালের বাড়ি’ গল্পে যাত্রাপথ কীভাবে হয়েছে?
→ নদী পারাপার, নৌকা ও গ্রামের জীবন।
৪৮. ‘বাঘা যতীনের’ গল্পে মূল শিক্ষণীয় দিক কী?
→ সাহসিকতা ও সহানুভূতির চিত্র।
৪৯. ‘উঠো নতুন ভারতলক্ষ্মী’ কবিতায় কবি কী আশা প্রকাশ করেছেন?
→ ভারতবর্ষ নতুন আশায় জাগবে।
৫০. ‘ঘুম ভাঙার’ কবিতার বার্তা কী?
→ প্রকৃতি ও সমাজে সক্রিয় হওয়ার ডাক।
৫১. মাতৃভাষা শিক্ষার দুটি লক্ষ্য লিখো।
→ কথা-লেখার অর্থ বোঝা; ভাব প্রকাশে দক্ষতা।
৫২. মাতৃভাষা শিক্ষার প্রধান চারটি দিক কী?
→ গ্রহণমূলক,
অভিব্যক্তিমূলক, রসসঞ্চারমূলক, সৃজনশীলতা।
৫৩. মাতৃভাষা শিক্ষায় গ্রহণমূলক লক্ষ্য কী?
→ কথা ও লেখা বুঝতে পারা।
৫৪. মাতৃভাষা শিক্ষায় অভিব্যক্তিমূলক দিক কী?
→ নিজের ভাব ব্যক্ত করতে পারা (কথা ও লেখা)।
৫৫. সৃজনশীলতার বৈশিষ্ট্য কী?
→ নতুন ভাবনা ও সুন্দরভাবে প্রকাশ।
৫৬. প্রাথমিক স্তরের বাংলা শিক্ষার লক্ষ্য কী?
→ কথা-লেখা বোঝা, ভাব প্রকাশ, কথা লেখা বুঝে বলা।
৫৭. মাতৃভাষা কেন জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত সঙ্গী?
→ সারাজীবন শিক্ষা ও ভাব প্রকাশে সহায়ক।
৫৮. অন্তর্বন্ধ পদ্ধতি কী?
→ পড়া বিষয়সমূহ ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার যোগসূত্র স্থাপন।
৫৯. বর্ণানুকরণ পদ্ধতির অসুবিধা দুটি?
→ যেমন- উচ্চারণের বৈচিত্র্য, শব্দ লেখার অভ্যাস।
৬০. শব্দপাঠ পদ্ধতির দুটি অসুবিধা লেখো।
→ ভুল উচ্চারণ, অংশগ্রহণে অনীহা।
৬১। ভাষা শেখার মাধ্যমে শিশুর কী কী উপকার হয়? উদাহরণ দাও।
→ ভাষা শেখার মাধ্যমে শিশুর আগ্রহ বাড়ে ও নতুন শব্দ, গ্রাম্য ভাষা এসব শেখে।
৬২। ‘প্রজেক্ট পদ্ধতি’ কী?
→ শিক্ষার্থী যখন নিজের উদ্যোগে সামাজিক কাজ করে, তখন তাকে প্রজেক্ট বলে। এতে ৪টা ধাপ থাকে: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ, ২. পরিকল্পনা, ৩. কাজ, ৪. মূল্যায়ন।
৬৩। শব্দপাঠ পদ্ধতি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
→ শিশু প্রথমে শব্দ শেখে, উচ্চারণ শেখে, তারপর শব্দ ভেঙে বর্ণ শেখে।
উদাহরণ: আম-আ/ম, বই-ব/ই, রব-র/ব ইত্যাদি।
৬৪। তালব্য বর্ণ কী?
→ যেসব অক্ষর উচ্চারণে জিভের মাঝখান তালু ছোঁয়, সেগুলো তালব্য বর্ণ।
উদাহরণ: চ, ছ, জ, ঝ।
৬৫। বর্ণানুকরণ পদ্ধতির দুইটি সুবিধা কী?
→ ১. উচ্চারণ ভুলের সংশোধন হয়।
২. ভুল হলে নতুনভাবে শেখা সম্ভব।
৬৬। বর্ণপাঠ পদ্ধতি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
→ প্রথমে বর্ণ শেখানো হয়, পরে শব্দ তৈরি শেখানো হয়।
উদাহরণ: অ-অজ, অজগর; আ-আম, আটা; ই-ইঁদুর।
৬৭। বর্ণপাঠ পদ্ধতির সুবিধা কী?
→ অক্ষর, শব্দ ও উচ্চারণ আলাদা ভাবে পরিষ্কার বোঝা যায়। অজানা শব্দ চিনতে সহজ হয়।
৬৮। আন্তর্বন্ধ পদ্ধতির মূল বিষয় কী?
→ পাঠের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক শেখায়; কয়েকটি বিষয়ের যোগসূত্র তৈরি হয়।
৬৯। ‘নীরব পাঠ’ কাকে বলে?
→ যার সময় মুখ খুলে শব্দ হয় না, কেবল মনে মনে পড়া; লাইব্রেরিতে এর প্রয়োজন বেশি।
৭০। ‘নীরব পাঠ’-এর সুবিধা ও অসুবিধা কী?
→ সামান্য সময়েই বেশি বলা যায়, পড়া যায়।
অসুবিধা: অনেক সময় অর্থ বোঝা সম্ভব হয় না।
৭১। বর্ণানুকরণ পদ্ধতির দুইটি সুবিধা লেখো।
→ ১. সঠিক উচ্চারণ সম্ভব হয়।
২. স্বাধীনভাবে পড়া বা ভাবা সম্ভব।
৭২। ‘সরব পাঠ’ এর দুটি প্রয়োজ্যতা লেখো।
→ ১. উচ্চারণ শুদ্ধ হয়।
২. আঞ্চলিক উচ্চারণ থেকে মুক্তি মেলে।
৭৩। বারবার সংযোগের দুইটি দিক লেখো।
→ ১. অচেনা শব্দের সঙ্গে চেনা শব্দ তুলনা করা যায়।
২. ধর্য্য বাড়ে।
৭৪। ‘নীরব পাঠ’-এর দুইটি অসুবিধা লেখো।
→ ১. সঠিক উচ্চারণ হয় না।
২. সবার মাঝে আগ্রহ কমে যায়।
৭৫। আদর্শ পাঠের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
→ ১. অর্থবোধক হতে হবে।
২. পাঠকে জীবন্ত করে তোলা।
৭৬। ‘সরব পাঠ’ কাকে বলে?
→ উচ্চস্বরে শব্দ করে পড়া—উচ্চারণ ও আবেগ উদ্রেক করে।
৭৭। বাংলা ভাষা শিক্ষার স্তর কী কী?
→ শ্রবণ, বলা, পড়া, লেখা।
৭৮। লেখার দক্ষতা বাড়ানোর দুটি উপায় লেখো।
→ ১. নিজের ভাব বা অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা অনুশীলন।
২. বন্ধু কিংবা নিকটজনকে চিঠি লেখায় উৎসাহ।
৭৯। বারবার শেখানোর দুটি গুরুত্ব লেখো।
→ ১. অভ্যাস হয়।
২. শুদ্ধ ভাষা শেখার আগ্রহ বাড়ে।
৮০। পড়ার দক্ষতা বাড়ানোর দুটি উপায় লেখো।
→ ১. স্পষ্ট করে পড়া ও শব্দের অর্থ বোঝা।
২. প্যারাগ্রাফ পড়েও অর্থ বুঝতে পারা।
৮১। 'ভাষাগত দক্ষতা' কী?
→ ভাষা ব্যবহার ও যোগাযোগের দক্ষতা অর্জন।
৮২। প্রাথমিক স্তরের ভাষা শেখানোর উপকরণের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
→ ১. শিশুদের উপযোগী হতে হবে।
২. শিশুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এমন হতে হবে।
৮৩। ‘পাঠ-পরিকল্পনা’ কাকে বলে?
→ পাঠের খসড়া/রূপরেখা; শিক্ষক কীভাবে পড়াতে চান তার পরিকল্পনা।
৮৪। বাংলা ভাষা শেখার সহায়ক দুটি উপকরণ লেখো।
→ ১. পাঠ্যপুস্তক
২. চক, বোর্ড, কম্পিউটার
৮৫। ‘শিক্ষা-গবেষণা’ কাকে বলে?
→ শিক্ষাদানের উপর গবেষণা/ভাবনা; অর্থাৎ কীভাবে আরও ভালো শেখানো যায়।
৮৬। অণুদ্দেশ্য বা ক্ষুদ্র শিক্ষামূলক কাজের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
→ ১. ছোট ছোট কার্যক্রম।
২. সহপাঠীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
৮৭। অণু-শিক্ষণ সুপারভাইজারের কাজ কী?
→ পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া।
৮৮। অণু-শিক্ষণের দুটি সুবিধা কী?
→ ১. নানা শিক্ষণ দক্ষতা বাড়ায়।
২. ভালোভাবে বড় শিক্ষণ অনুশীলন হয়।
৮৯। অণু-শিক্ষণ কী?
→ ছোট পাঠ শেখার প্রশিক্ষণ পদ্ধতি।
৯০। রাঢ়ী উপভাষার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
→ ১. সংকোচনের প্রবণতা।
২. বিশেষ স্বরের ব্যবহার।
৯১। প্রাথমিক স্তরের ব্যাকরণ শেখানোর লক্ষ্য কী?
→ ১. ভাষা শুদ্ধভাবে ব্যবহার।
২. উচ্চারণ পরিষ্কার ও শব্দ যথাযথ প্রয়োগ।
৯২। ‘আলোচনা পদ্ধতি’-এর দুটি সুবিধা লেখো।
→ ১. শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মতামত বিনিময়।
২. চিন্তা শক্তি বাড়ে।
৯৩। ব্যাকরণ শেখানোর দুটি উদ্দেশ্য লেখো।
→ ১. শুদ্ধভাবে ভাষা লেখা;
২. শুদ্ধভাবে ভাষা বলা।
৯৪। উষ্ণ বর্ণ কী?
→ উচ্চারণে শ্বাস বেশি লাগে; যেমন—শ, ষ, স, হ।
৯৫। ব্যাকরণ শেখার দুটি গুরুত্ব লেখো।
→ ১. শুদ্ধ কথা ও লেখা শেখা।
২. অর্থের বিভ্রান্তি কমে।
৯৬। আলোচনা পদ্ধতি কী?
→ উদাহরণ ও বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।
৯৭। অনুচ্ছেদ লেখার প্রয়োজনীয়তা কী?
→ ১. ভাব প্রকাশের চর্চা।
২. চিন্তা শক্তি ও সংক্ষেপে প্রকাশের অভ্যাস।
৯৮। সাধারণ চিঠির ধরনের নাম লেখো।
→ ব্যক্তিগত, সামাজিক, অফিসিয়াল, বানিজ্যিক, দরখাস্ত।
৯৯। চিঠি লেখার প্রয়োজন কবে?
→ ১. ভাব প্রকাশ ও যোগাযোগের জন্য।
২. দূরে থাকা মানুষের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য।
১০০। ভালো চিঠির ভাষাগত বৈশিষ্ট্য কী কী?
→ পরিষ্কার, সহজ, সংক্ষিপ্ত, সঠিক, পাঠযোগ্য।
১০১। ভালো হাতের লেখার বৈশিষ্ট্য কী?
→ স্পষ্টতা, সরলতা, সমানতা, যথাযথ বিরাম চিহ্ন।
১০২। 'ভাষা' কি?
দুইটি সংজ্ঞা লেখো।
→ ১. মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যম।
২. মুখের ধ্বনি দিয়ে উচ্চারিত অর্থপূর্ণ বাক্য।
১০৩। আদর্শ শিক্ষকের দুটি গুণ লেখো।
→ ১. নীতিবান হতে হবে।
২. জ্ঞানী ও শিক্ষিত হতে হবে।
১০৪। বিশ্বে বাংলা ভাষার স্থান কোথায়?
→ সপ্তম। পশ্চিমবঙ্গ,
বাংলাদেশ, আসাম, ত্রিপুরা ও নানা দেশে ছড়ানো।
১০৫। 'প্রাদেশিক ভাষা' কী?
→ নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রচলিত ভাষা; যেমন—হিন্দি, ওড়িয়া, গুজরাটি ইত্যাদি।
১০৬। মাতৃভাষা কাকে বলে?
→ শিশু প্রথম যে ভাষা শেখে ও বাড়িতে ব্যবহার করে—তাই তার মাতৃভাষা।
১০৭। দ্বিতীয় ভাষা কাকে বলে?
→ মাতৃভাষা ছাড়া অন্য যে ভাষা শেখে, সেটি।
১০৮। ভাষা আত্তীকরণ কী?
→ ভাষা ব্যবহার ও অনুশীলনের মাধ্যমে দক্ষ হওয়া।
১০৯। ব্যাপক মূল্যায়ন কাকে বলে?
→ শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্ৰহ, বিশ্লেষণ ও সমগ্র বিকাশ বিষয়ক মূল্যায়ন।
১১০। ক্রিয়াকর্মমূল্যায়ন কাকে বলে?
→ কার্য সম্পাদন করতে পারলো কি না, সে বিচার।
১১১। সামগ্রিক মূল্যায়ন কী?
→ শিক্ষার্থীর সমস্ত দিক: শরীর, মন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি বেড়ে ওঠার মূল্যায়ন।
১১২। বারবার শেখার গুরুত্ব কী?
→ ভাষা, ভাবনা ও শুদ্ধ অর্থ প্রকাশ নিশ্চিত করার জন্য।
১১৩। পারদর্শিতার মাপজোক কী?
→ শিক্ষার্থীর শেখার মান যাচাইয়ের পরীক্ষা, যেমন—অর্জন কেমন হলো তা দেখা।
১১৪। মৌখিক পরীক্ষায় কী দেখা হয়?
→ উচ্চারণ, পড়ার দক্ষতা, দ্রুত উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা ইত্যাদি।
১১৫। অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন কী?
→ ক্লাসে পাঠদান বা অভ্যন্তরীণ কাজের মূল্যায়ন।
১১৬। Formative মূল্যায়ন কী?
→ শেখার চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীর অগ্রগতি মূল্যায়ন করা; যেমন—রোজকার ক্লাসে মূল্যায়ন।
Long
Questions
বাংলা ব্যাকরণ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা:
অনেকের মত, মাতৃভাষা শেখার সঙ্গে ব্যাকরণ শেখা অপরিহার্য। কারণ, ভাষা শিখে ব্যাকরণ না জানলে ভাষা পরিষ্কারভাবে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। নবজাতকের ভাষা শেখার প্রক্রিয়া থেকে বোঝা যায়, শুদ্ধ ভাবে ভাব প্রকাশ, পড়া ও লেখা শেখার জন্য ব্যাকরণ জানা জরুরি। তবে ব্যাকরণের অতি বেশি জটিলতায় ফেলে দিলে ভাষা শেখার ইচ্ছা হারায়। সেজন্য ব্যাকরণ যেন ভাষাকে সম্পূর্ণরূপে আয়ত্ত করতে সাহায্য করে, তাই সহজ ও প্রাণবন্ত হওয়া প্রয়োজন।
বাংলা ব্যাকরণের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে আলোচ্য বিষয়গুলো হলো—
১) ব্যাকরণের জ্ঞান ভাষাকে সঠিকভাবে ব্যবহারে সাহায্য করে—শিক্ষার্থীরা ভাষার সঠিক প্রয়োগ শিখে।
২) প্রয়োজনীয় শব্দবর্ধক হিসেবে কাজ করে—শব্দের সঠিক ব্যবহারে ভুল কমে।
৩) শুধু লিখনীয় নয়, উচ্চারণে ও সাহায্য করে।
৪) ভাষার বিভিন্ন প্রয়োগ ও রূপ বুঝতে সাহায্য করে।
৫) স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের জ্ঞান ভুল কমায়।
৬) সামাজিক যোগাযোগে ভাষাকে শক্তিশালী করে।
৭) সম্পর্কিত বিষয়গুলোর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বুঝতে সহায়তা করে।
৮) ছন্দ-লয় বোঝার মাধ্যমে কাব্যবোধ বাড়ায়।
৯) অব্যয় ও ক্রিয়ার অর্থ ও ব্যবহার স্পষ্ট হয়।
১০) উদ্ধৃতি-প্রতিক্রিয়া বুঝতে সহজ হয়।
১১) বাক্য বিশ্লেষণ শেখায়।
১২) বাক্য গঠন ও রচনা শিখতে সহায়তা করে ভাষাকে সমৃদ্ধ করে।
১৩) ভাষার ঐতিহাসিক ও স্থায়ী রূপ বুঝতে সাহায্য করে।
১৪) অন্য ভাষার ব্যাকরণের সঙ্গে তুলনা ও সম্পর্ক তৈরি করতে উৎসাহ দেয়।
১৫) আত্মবিশ্বাসী ও প্রাণবন্ত ভাষা ব্যবহারে সক্ষম করে।
ব্যাকরণ শিক্ষাকে আকর্ষণীয় করার জন্য শিক্ষকের করণীয় এবং পদ্ধতিগুলো কি—
রবয়ালনে সাধারণত নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে ব্যাকরণ শেখানো হয়—
১) সূত্র বা নীতিমালা পদ্ধতি (Formula
Method)
২) ভাষা ব্যবহার পদ্ধতি (Language-use
Method)
৩) পাঠ্যপুস্তক পদ্ধতি (Text-Book
Method)
৪) প্রচার পদ্ধতি
৫) বিশ্লেষণ পদ্ধতি (Analytic
Method)
৬) অবনমুখী (Deductive
Approach)
৭) অভিনমুখী (Inductive
Method)
উদাহরণ স্বরূপ, বিশ্লেষণ পদ্ধতি সবচেয়ে জনপ্রিয়; আর অভিনমুখী পদ্ধতি আধুনিক ও কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।
অভিনমুখী পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী প্রথমে উদাহরণ দেখে, তারপর সূত্র বের করে শেখে। উদাহরণ:
- দূ মরণশীল
- সকল মানুষ মরণশীল
এই পদ্ধতিতে ব্যাকরণের কঠিন নিয়মগুলো সহজে শেখানো হয়।
অভিনমুখী পদ্ধতির সুবিধা—
- সহজবোধ্য ও বাস্তবসম্মত।
- শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ায়।
- নিয়মগুলো অন্তর্ভুক্তিসহ শেখায়।
- হাতে কলমে শিখতে পথিকৃত।
অসুবিধা—
- সময় বেশি লাগে।
- সব বিষয় শেখানো কঠিন।
মাতৃভাষা শিক্ষায় বিভিন্ন পদ্ধতির নাম এবং শব্দাঙ্ক্রমিক পদ্ধতির, বর্ণাঙ্ক্রমিক পদ্ধতির ও প্রকল্প পদ্ধতির সুবিধা-অসুবিধা:
(i) মাতৃভাষা শিক্ষায় প্রচলিত পদ্ধতি—
১) শব্দাঙ্ক্রমিক পদ্ধতি: শিক্ষার্থীদের শব্দ চিনতে ও উচ্চারণ শিখতে সাহায্য করে।
২) বর্ণাঙ্ক্রমিক পদ্ধতি: বর্ণের পরিচয় এনে বর্ণ ও শব্দ সঠিক উচ্চারণ শেখায়।
৩) বাক্য পদ্ধতি
৪) অভিনয় পদ্ধতি
৫) অনুকরণ পদ্ধতি
৬) সাদৃশ্য পদ্ধতি
৭) গল্পবদ্ব পদ্ধতি
৮) ছড়া ও গান পদ্ধতি
শব্দাঙ্ক্রমিক পদ্ধতির সুবিধা-
- শিক্ষার্থীরা শব্দ বুঝতে ও উচ্চারণে দক্ষ হয়।
- বিষয়বস্তুর সঙ্গে পরিচিত হয়।
- আগ্রহ বাড়ে এবং শব্দের অর্থ সহজে বোঝে।
অসুবিধা—
- পুরো বিষয় ঠিকমতো শেখানো কঠিন।
- সময় বেশি লাগে।
বর্ণাঙ্ক্রমিক পদ্ধতির সুবিধা—
- সঠিক উচ্চারণ শেখায়।
- বর্ণের পরিচয় ও ব্যবহার নিশ্চিত করে।
অসুবিধা—
- মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হতে পারে।
- সম্পূর্ণ শেখানোর জন্য সময় লাগে।
প্রকল্প পদ্ধতির সুবিধা—
- শিক্ষার্থীরা নিজের উদ্যোগে কাজ শেখে।
- সহমর্মিতা, সহযোগিতা ও নেতৃত্ব গড়ে তোলে।
- জীবনের বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিতি দেয়।
- আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
অসুবিধা—
- সব বিষয়েই প্রয়োগ করা যায় না।
- সময়সাপেক্ষ।
- সময়মতো সম্পন্ন না হলে সফলতা কমে।
বাংলা ব্যাকরণ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা:
অনেকের মতে, মাতৃভাষা শেখার সঙ্গে ব্যাকরণ শেখা অপরিহার্য। কারণ, ভাষা শিখে ব্যাকরণ ছাড়া ভাষাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় না। নবজাতকের ভাষা শেখার প্রক্রিয়ায় দেখা যায়, শুদ্ধভাবে ভাব প্রকাশ, পড়া ও লেখা শেখার জন্য ব্যাকরণ জানা জরুরি। তবে অধিক জটিল ব্যাকরণ ভাষা শেখার আগ্রহ কমিয়ে দেয়। তাই ব্যাকরণ যেন সহজ ও প্রাণবন্ত হয়, যাতে ভাষা আয়ত্ত করা সম্ভব হয়।
বাংলা ব্যাকরণের প্রয়োজনীয়তা হলো—
১) ব্যাকরণের জ্ঞান ভাষাকে সঠিক ও সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
২) প্রয়োজনীয় শব্দ প্রয়োগে ভুল কমায়।
৩) উচ্চারণ ও লেখায় সাহায্য করে।
৪) ভাষার বিভিন্ন রূপ ও প্রয়োগ বুঝতে সাহায্য করে।
৫) স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ সম্পর্কে জ্ঞান দেয়।
৬) সামাজিক যোগাযোগে ভাষাকে শক্তিশালী করে।
৭) ভাষাগত সম্পর্ক ও পারস্পরিক সমঝোতা গড়ে তোলে।
৮) ছন্দ ও কাব্যবোধ বিকাশে সাহায্য করে।
৯) সাধারণ ও বিশেষ অর্থ বোঝাতে সাহায্য করে।
১০) বাক্য বিশ্লেষণ শেখায়।
১১) ভাষাকে সমৃদ্ধ করে।
১২) আত্মবিশ্বাস ও প্রাণবন্ত ভাষা ব্যবহার নিশ্চিত করে।
ব্যাকরণ শিক্ষায় প্রধান পদ্ধতি ও তাদের বৈশিষ্ট্য:
ব্যাকরণ শেখানোর জন্য সাধারণত নিচের পদ্ধতিগুলো ব্যবহার হয়—
১) সূত্র পদ্ধতি (Formula
Method)
২) ভাষা ব্যবহার পদ্ধতি (Language-use
Method)
৩) পাঠ্যপুস্তক পদ্ধতি (Text-Book
Method)
৪) প্রচার পদ্ধতি
৫) বিশ্লেষণ পদ্ধতি (Analytic
Method)
৬) অবনমুখী পদ্ধতি (Deductive
Approach)
৭) অভিনমুখী পদ্ধতি (Inductive
Method)
বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যাকরণ শেখার প্রচলিত পদ্ধতি; অভিনমুখী পদ্ধতি আধুনিক ও কার্যকর। অভিনমুখী পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী প্রথমে উদাহরণ দেখে, পরে নিয়ম বের করে শেখে। উদাহরণস্বরূপ,
সকল মানুষ মরণশীল—এই ধরনের প্রজ্ঞাপণ নিয়ে শেখানো হয়।
অভিনমুখী পদ্ধতির সুবিধা—
- সহজবোধ্য ও বাস্তবসম্মত
- আগ্রহ জন্মায়
- নিয়মগুলি স্বাভাবিকভাবে শেখায়
অসুবিধা—
- সময় বেশী নেয়
- সব বিষয় শেখানো কঠিন
মাতৃভাষা শিক্ষায় পদ্ধতিসমূহ এবং শব্দাঙ্ক্রমিক, বর্ণাঙ্ক্রমিক ও প্রকল্প পদ্ধতির সুবিধা-অসুবিধা:
মাতৃভাষা শিক্ষায় নিচের পদ্ধতি প্রচলিত—
১) শব্দাঙ্ক্রমিক পদ্ধতি: শব্দকেন্দ্রিক শেখানো। সুবিধা—শব্দ বোঝা ও উচ্চারণ শেখায়; অসুবিধা—সমস্ত বিষয় শেখানো কঠিন।
২) বর্ণাঙ্ক্রমিক পদ্ধতি: বর্ণের পরিচয় ও উচ্চারণ শেখায়। সুবিধা—সঠিক উচ্চারণ; অসুবিধা—শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তির সম্ভাবনা।
৩) বাক্য পদ্ধতি
৪) অভিনয় পদ্ধতি
৫) অনুকরণ পদ্ধতি
৬) সাদৃশ্য পদ্ধতি
৭) গল্পপদ্ধতি
৮) ছড়া-গানের পদ্ধতি
প্রকল্প পদ্ধতির সুবিধা—
- নিজ উদ্যোগে শেখা
- সহযোগিতা-বান্ধব পরিবেশ
- বাস্তবজীবনের সঙ্গে সম্পর্ক
- আত্মবিশ্বাস বাড়ায়
অসুবিধা—
- সব বিষয়ে প্রয়োগ কঠিন
- সময়সাপেক্ষ
সরব পাঠ ও নীরব পাঠের সুবিধা ও অসুবিধা বিশ্লেষণ:
(i) সরব পাঠ:
সরব পাঠ মানে হলো শব্দ গুলো উচ্চারণ করে পড়া। এটি ভাষা শেখার প্রথম স্তরে খুবই প্রয়োজনীয়,
কারণ এই পর্যায়ে শিশুরা শব্দ ও বর্ণ সঠিকভাবে উচ্চারণ শেখে। সরব পাঠের মাধ্যমে পড়ার সঠিক উচ্চারণ ও ভাব প্রকাশ বৃদ্ধি পায়। বিশিষ্ট শিক্ষক ড. ওয়েস্ট বলেছেন, “যখন পর্যন্ত পাঠশিক্ষার্থী পড়তে পারে না, শিক্ষকই ভাষার একমাত্র উৎস, মা পাখির মতো শিক্ষার্থীর মুখে ভাষার অংশ তুলে দেন।” সরব পাঠ শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে উচ্চারণে উন্নতি ঘটে।
সরব পাঠের সুবিধাসমূহ:
১) শব্দ ও বর্ণ সঠিক উচ্চারণে সাহায্য করে।
২) প্রাথমিক স্তরে সঠিক উচ্চারণ শিখতে সহায়তা করে।
৩) শিক্ষকের মডেল লাউড রিডিং শিক্ষার্থীকে শুদ্ধ উচ্চারণ শেখায়।
৪) ধারাবাহিকতা ও সামঞ্জস্য তৈরি করে।
৫) ভাষায় প্রাণ ও সুর আনে।
৬) ধ্বনি বোঝার সহায়তা করে।
৭) ত্রুটি সংশোধনে কার্যকর।
৮) মনোযোগ ও উৎসাহ বৃদ্ধি করে।
৯) ভুল উচ্চারণ চিহ্নিত ও সংশোধন সহজ হয়।
১০) ছন্দ ও বাক্য গঠনে সহায়তা করে।
১১) আঞ্চলিক উচ্চারণ ভুল দূর করতে সাহায্য করে।
১২) ভাষার স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখে।
সরব পাঠের অসুবিধাসমূহ:
১) উচ্চারণে সামঞ্জস্য রাখতে সময় লাগে।
২) অনিয়মিত পাঠে বিরক্তি ও বুঝতে অসুবিধা হয়।
৩) অতিরিক্ত শব্দ উচ্চারণ মনোযোগ হারায়।
৪) ভুল উচ্চারণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
৫) ছন্দ ও বাক্যচিহ্নে ভুল হতে পারে।
৬) মাঝে মাঝে মনোযোগ কমে যায়।
(ii) নীরব পাঠ:
নীরব পাঠ হলো শব্দ না বলে, চুপচাপ মনে মনে পড়া। এটি উচ্চতর স্তরের শিক্ষার জন্য প্রয়োজন। নীরব পাঠ অধিকাংশ সময় গ্রন্থপাঠ ও ব্যাখ্যার জন্য ব্যবহৃত হয়।
নীরব পাঠের সুবিধা:
১) মনোযোগ বৃদ্ধি করে।
২) উচ্চারণের ভুল কমায়।
৩) শব্দ ও বাক্যের অর্থ বুঝতে সাহায্য করে।
৪) পড়ার গতি বাড়ায়।
৫) বিদ্যালয়ে গ্রন্থপাঠে সহায়ক।
৬) মনোযোগ ও চিন্তা বিকাশে সহায়তা করে।
নীরব পাঠের অসুবিধা:
১) উচ্চারণ ও ভাব প্রকাশ কম হয়।
২) ভুল উচ্চারণ ধরতে সমস্যা হয়।
৩) শিক্ষার্থীর মনোযোগ হারানোর সম্ভাবনা থাকে।
৪) শিক্ষাকৃত শব্দ ও বাক্যের সঠিক প্রয়োগ কম হয়ে যেতে পারে।
সার্থক মূল্যায়নের কাজ কী?
সার্থক মূল্যায়ন হল শিক্ষার্থীর সামগ্রিক উন্নয়ন, তাদের অর্জিত জ্ঞান এবং দক্ষতা পরিমাপ করার একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস, শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি, সম্পর্ক তৈরি এবং সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সামগ্রিক বিকাশ ও উন্নয়নের ধারাবাহিক পর্যালোচনা করা সম্ভব হয়।
ডেরিডেন্ন মূল্যায়নের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য:
- শিক্ষার্থীর অগ্রগতি সঠিকভাবে দেখা যায়।
- শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ও মনস্তাত্ত্বিক সক্ষমতার উন্নয়নায় সাহায্য করে।
- বেবস্থাপনায় সহায়তা করে।
- অপচয়ের পথ বন্ধ করে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করে।
সামগ্রিক মূল্যায়নের বিশেষ বৈশিষ্ট্য:
- শিক্ষার্থীর সামগ্রিক বিকাশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
- বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে সম্যক মূল্যায়ন হয়।
- গুণগত ও পরিমাণগত বিশ্লেষণ নিশ্চিত হয়।
অনুপাঠটির সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা
অনুপাঠ হলো—সময়সীমা ও শ্রেণী অনুযায়ী শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাক-পরিকল্পিত সংক্ষিপ্ত পাঠের ধারাবাহিক অংশ। এটি শিক্ষার্থীর পাঠাবলী কুশলতা ও বিষয়ের গভীর বোঝাপড়ায় সাহায্য করে।
অনুপাঠের উদ্দেশ্য:
১) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে পাঠসম্পর্কিত ধারাবাহিকতা সুনিশ্চিত করা।
২) ব্যাপ্ত পড়া অংশের কার্যকর শিক্ষা।
৩) বিষয়বস্তুর গভীরতা উপলব্ধি করা।
৪) কার্যকর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিক্ষা নিশ্চিত করা।
৫) শ্রোতা-কেন্দ্রিক ও প্রকাশমুখী শিখনের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখা।
৬) শিক্ষার্থীর পারস্পরিক সহযোগিতা ও উৎসাহ বৃদ্ধি।
৭) পাঠবিষয়ক দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধি।
৮) শিক্ষার্থীর আচরণগত উন্নয়ন এবং শৃঙ্খলা নিশ্চিত।
অনুপাঠের প্রয়োজনীয়তা:
১) দীর্ঘ সময় ধরে চলমান শিক্ষাসূচকের মধ্যে সংহতি রক্ষা করে।
২) শিক্ষার্থীর মনোযোগ ধরে রাখে ও শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বাড়ায়।
৩) শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের জন্য শিক্ষার মানদণ্ড নির্ধারণে সহায়তা করে।
৪) শিক্ষার্থীর সমস্যা ও দুর্বলতা চিহ্নিত ও সমাধানে সাহায্য করে।
৫) শিক্ষার্থীর জ্ঞানে ধারাবাহিকতা ও নিশ্চিত উন্নয়ন ঘটায়।
৬) সামগ্রিক শিক্ষণ কার্যক্রমের মান উন্নত করে।
পাঠকের ক্ষেত্রমূল্যায়ের কাজের ছয়টি প্রয়োজনীয়তা ও অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের কাজ
পাঠকের ক্ষেত্রমূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা:
- শিক্ষার্থীর অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতার সঠিক পরিমাপ।
- শিক্ষার্থীর উন্নয়ন ও দুর্বলতা চিহ্নিত।
- শিক্ষাদানে ব্যবহৃত পদ্ধতির উন্নয়ন।
- শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মধ্যে প্রতিফলন সৃষ্টি।
- শিক্ষার মান বৃদ্ধি।
- শিক্ষার্থীর শিক্ষা অর্জনে উৎসাহ বৃদ্ধি।
অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন:
শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রমের মূল্যায়ন যা শিক্ষকের তদারকি ও পর্যবেক্ষণে হয়।
অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের কাজ:
- ক্লাসে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ পর্যবেক্ষণ।
- পাঠ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীর অগ্রগতি মূল্যায়ন।